প্রাণগোবিন্দ শ্রীকৃষ্ণ এবং
কুচবেহার
[ফেসবুক- ১৬-০৮-২০২৫]
আজি শ্রীকৃষ্ণর উপজন দিন। ফেসবুকত
প্রাণগোবিন্দ প্রাণগোবিন্দ করি করি সগায় মাত। ঠিক-এ আজি প্রাণ গোবিন্দ গরু চরা গোপাল
শ্রীকৃষ্ণর উপজন দিন সগায় ভক্তি ভরি তাঁক ফম করো- ‘শ্রী গোবিন্দায় নম:”।
তায় এই গোবিন্দ কী? গোপাল কী? এবং সেই নগে কুচবেহারের সাথত সম্পর্ক কী? নরনারায়ণ বা ‘নারায়ণ’ উপাধি তথা ‘রাসচক্র”-র সাথত সম্পর্ক কী ? সেইটা আলোচনা করিমু।
যায় বেয়া পাবেন, না পড়িবেন, “গাসাবেন না”----- “মুখ খাউপসা করিবেন না”।
শিক্ষিত মানষির উচিত তথ্যর ভিতিরা সোন্দেবার চাওয়া,সাধারণ মানষির নাখান খালি হরিসভাত –“হরিবোল হরবোল’ কওয়া নোয়ায়।
যাই হউক, হামরা রাসচক্রর
ভিতি চখু ফেলাই, যায় বনায় হামারে এক রাজ্যবাসী মোছরমান ভাই। সংহতির এই কুচ-বেহারত বৈষ্ণব সাধনার এই রাস
পূজাত মোছরমানের অংশগ্রহণ সচায় সেই কালের রাজশাসকের এক উদাস মানসিকতার চিন।
যাই হউক, এই ‘রাসচক্র’ কী? এইটাক ক্যানে অমুন করি তৈয়ার করা হয়; বা ক্যানে ঘুরা
হয়! আমরা
জানি সেই ‘রাশিচক্রর’ কাথা। সেই রাশি চক্রয় ‘রাসচক্র’ ; আর ‘রাসচক্রয়’ ‘রসচক্র’- ব্রহ্মাণ্ড
সিজ্জনের বা ব্রহ্মাণ্ড ঘুরণের বা পৃথিবী ঘুরণের চাকা এবং একের মাজত অন একের
চিরৎকালীন ‘টান”; এই টানটা “ভালপাওয়া’, এই টানটা ‘রস’- অভিকর্ষ, মহাকর্ষ; যে ‘টান’ পুরুষ আর প্রকৃতির মাঝত অঝে। আর এই টায় বিষ্ণুর চক্র।
সূর্যয় হামার গোটায় ব্রহ্মাণ্ডর শক্তি দাতা। সূর্যয় বিষ্ণু, সুর্যয় শিব। আমরা এটি বৈষ্ণব
তত্ব নিয়া আলোচনা করিমু। ‘গো” মানে আলো, ব্রহ্মাণ্ড, শক্তি, গিয়ান, পৃথিবী ইত্যাদি। পরম ভগবান
বিষ্ণু বা দেবাদিদেব শিব “হর” এবং “হরি”। এই হর এবং হরি শব্দ আসিছে “অহুর” বা অসুর” থাকি। ঋগ্বেদত অসুর(অহুর) কোন দৈত্য বা বেয়া শক্তি নোয়ায়, বরং “ঈশ্বর, নেতা, গুরু, পূজনীয়” ইত্যাদি। এই বাদে শিব, বিষ্ণু, ইন্দ্র, অগ্নি সগায় ‘অহুর’। আভেস্তাত এই শিব বা বিষ্ণুর রূপটা
কওয়া হয় “অহুর মেধস” বা অহুর বেধস’। ‘মেধা’ শব্দ আইসে ‘বেধস” থাকি বেধস’ মূল ধাতু ‘বিদ্(to know);এই বাদে ‘বেদ’ শব্দর উপজন।
ভাল দিন পাছোত “পৌরাণিক” কাহিনীকরণত ইতিহাস হয় অইন্য
নাখান- ‘অসুর’ মানে হয় দৈত্য। এই বৈদিক অর্থৎ ‘কৃষ্ণও অসুর” নরক-ও অসুর, পৌন্ড্র বাসুদেব
ও অসুর। কৃষ্ণর
জন্মর আগত ‘বাসুদায় নম:’ উচ্চারণ হইছিল ‘নারায়ণ’ আছিল। [ এইলা অইন্য জাগাত কওয়া আছে]।
যাই হউক, বিষ্ণুর নাম- ‘গোধাস’, ‘গোবিন্দ’, ‘গোপাল’, ‘গোস্বামী’। এই বিষ্ণুই হইলেক ব্রহ্মাণ্ডর চালক শক্তি। [ঋগ্বেদের শ্যাষের এত্তি বিষ্ণুর
আগমন; সুতরাং ইয়ার অগত শিব বা রুদ্র “গোধাস’]।
এই বাদে
নাম “গোধাস”[ ‘গো’—ধা( to propel, ধাবিত করা]; গোবিন্দ[ গো-
বিদ্ (to know)- বিশ্বব্রহ্মাণ্ডক জানে যায়। বিষ্ণু হইলেক – “গোপাল”। ‘গো’-ক পালন করে যায়। ‘গো’- মানে গরু; এবং কৃষ্ণ গরু চরায়- এইটা প্রতিকী বিষয়। সাধারণ মানষিক কৃষ্ণর ভিতি
ভক্তিবান করির তানে – এই কাহিনীকরণ। বিষ্ণু “গোস্ৱামী”, অর্থাৎ পৃথিবীর বা ব্রহ্মাণ্ডর সোয়ামী। গো-ক পালন করে যায়, তায় ‘গোপাল’।
বিষ্ণুই মহাজাগতিক মহা জ্যোতিষ সূর্য্য। আর, এই বাদে ইয়াক কেন্দ্র করি
রাশি চক্রর ঘুরাণি- জ্যোতিষশাস্ত্র মতত বা মিডিয়ান ( মধ্যপার্শিয়া ) বা পাছোত অথর্বান কামরূপী
ধারণাত এই রাশি চক্রর ‘গো-পী’ ‘গোপ’ নারী নোয়ায়। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডর নারী শক্তি ( বা সৌগ প্রাণ, কৃষ্ণ একেলায়
পুরুষ আর সগায় নারী- এই ধারণা)। আর এই নারী শক্তির মূল “রাধ”(শক্তি, সম্পদ, বৈভব, ধন, ভগ, যোনি)। ঋগ্বেদত এই “রাধ” বা “সত্য রাধ”। মানষি যা কিছু চায়, সেই টায় “আরাধনা”- ‘রাধ’-কে চাওয়া। এই বাদে “রাধা”। আ- রাধ+অন(আ)]। ঋগ্বৈদিক কালত ‘রাধনা’ মানে “আরাধনা”; ‘আ’ উপস্বর্গর যোগ অনেক পাছোত। ঋগ্বেদত এতো ‘উপস্বর্গ’ ‘অনুস্বর্গ’ আছিল
না। পাণিনিকরণের
পাছোত শব্দত নানান উপস্বর্গ অনুস্বর্গ যোগ হয়। যাই হউক, যা ‘রাধ’-এর বিপরীত তা “অপরাধ’, অন্যায়। মানষি যা কিছু ভাল কাজ করে, সেই টা “রাধ’। এই বাদে শ্রীকৃষ্ণর ‘বিষ্ণিকরণ’ কাহিনীর সমায় ‘রুক্মিনী’-র বদলত ‘রাধা’ শব্দ জুড়ি দিয়া কাহিনীকরণ। কৃষ্ণর বগল যায়
আছে, ওটা
রুক্মিনী। রাধা বুলি কোন ঐতিহাসিক চরিত্র নাই। আর আদি রস (কণেক
যৌনতা) যোগ করিয়া সর্বজনগ্রাহ্য করার চেষ্টা করা হইছে। এটা একটা সাহিত্য মাত্র। আসল ইতিহাস দোসরা।
এই বাদে
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডর ‘রস’ (সিজ্জন প্রবাহ/আদিরস/ব্রহ্মরস)। ইয়ারে আনুষ্ঠানিক উজ্জাপন “রাস”। আর এই তানে “রাসচক্র/রসচক্র/রাশিচক্র”। ‘রাধার’ অষ্ট সখী; এবং রাধা ভায়
নয়জন---; অর্থাৎ নবগ্রহ। বিশ্বসংসারের
চলচ্ছক্তি মানষির সংসারত একে ভাবত বিদ্যমান।
‘গো’ মানে আলো। এই বাদে “গোরা” মানে ফরসা(পুং.)। ‘গো-রী” মানে নারী (যায় ফরসা)। এই বাদে মূলত: গৌরীদেবী “গোরীদেবী”। “চল গোরী লে যাবো তোকে দেশে”- এটার “গোরী” উচ্চারণ স্বাভাবিক প্রাচীন
ধারার চলচ্ছক্তি রূপ। প্রাচীনত “গোতম” ঋষি; ‘গৌতম ঋষি’ নোয়ায়। বুদ্ধদেব “গৌতমবুদ্ধ” নোয়ায়, “গোতম বুদ্ধ”[ জ্ঞানীতম বুদ্ধ]। কামতাপুরীত ‘গৌতম’ শব্দক “গোতম” উচ্চারণের লোক-ধারা আছে; এইটা প্রাচীন
প্রবণতা।
মহাযোগী “গোরক্ষনাথ” গো-(বিশ্বজগত)-এর রক্ষক অভিধাত অভিধিত। ইমাক পূজা করিলে ‘গোরু” ভাল থাকিবে- সাধারণ মানষির
সামাজিক জীবনত গোসম্পদ উন্নতির আশাত গোরক্ষনাথের পূজা করুক- এই বাদে গোন্নাথের গান এবং পূজা। “গবেষণা”[ গো- এষণ+আ] গরু উটকা নোয়ায়; আলোর ওণাষ। প্রাচীন ঋগ্বেদের রীতিত এইলার স্বাভাবিক উচ্চারণ। পাছিলা সমায়ত
“গৌ- গাৱ- গাম” বা ‘রাধ”-র “রাধনা”-র সাথত “আ” উপসর্গ যোগ
পাছিলার রীতি। “গোরু” গোমাতা রূপ [সং.- গো-রূপ]- পৃথিবী রূপ। মাতৃ শক্তির রূপ। এই বাদে নাম ‘গো-পশু”।
যাই হউক, এই বিষ্ণুক্রান্তার নরক বা বিশ্বসিংহ বংশর এই
বৈষ্ণব পূজাত শ্রীকৃষ্ণ/গোপাল/কামদেব/মদনকাম মহিমাময় হয়া চলি আছে।
“Naraka
Janaka hail, it may be supposed from such a stock which is called Alpine”
“The Bhauma Naraka and
Kshatriya Siraddhaj Janaka may be identified as of same line”.
এই আল্পাইন আরো ইরাণিয়ান মানষিলায় গঠি তুলিছে প্রাচীন বৈদিক
ব্রাত্য বা আধ্যাত্ম ধারা যে-ধারাত মানষি “গুণকর্ম বিভাগশ:” রীতিত ব্রাহ্মণ, দেবতা বা ভগবানত উন্নতীত হয়।
এই বিষ্ণুক্রান্তার বৈষ্ণব আদর্শ সদায়
বিরাজমান। এই বাদে
এই দৈব বিভার
উন্নয়নের শেষুয়া উদাহরণ নরনারায়ণ আরো চিলা রায়।
নরনারায়ণ আর চিলা রায় রামায়ণের রাম আর লক্ষণের নাখান নারায়ণের
অংশত উপজা। গোটায় দুনিয়াত এমুন উদাহরণ নাই যে, রাম আর লক্ষণের নাখান, কৃষ্ণ আর বলরামের নাখান ভাতৃত্ববোধের আদর্শর
নিদর্শন উপজিচে। পৃথিবীর ইতিহাসত বিরল যে, বড় ভাই মহারাজ আরো ছোট ভাই উমার সেনাপতি। এই বাদে
দরংরাজবংশাবলীত কওয়া হইইছে:
১) “শুনিয়োক সভাসদ রাজার চরিত্র ।
নরনারায়ণ রাজা পরম পবিত্র ।।
ধর্ম্মতেসে মতি অধর্মত মতি নাই।
নারায়ণ অংশে জন্মিছন্ত দুই ভাই।
২) শুনিয়োক সমস্তে সভাসদ।
বৈষ্ণব রাজার ইতো পদ।।
বৈষ্ণব বিষ্ণুর একে নাম।
জানি সবে বোলা রাম রাম”।।- (দর. রাজ.)
যাইহউক, ‘গোবিন্দায় নম”---।