Tuesday, September 11, 2018



Kuchbehar  

                                                     (Part of an Article ) 

কুচবেহার আরো কোচবিহার:
          [কু. কো.-৩.১০]
        কুচবেহারক কোচবেহার বানেয়া রাজ্যের মানষি কোচ এই তত্ব পরচার করা হইছেকোচবেহারের ইতিহাসত আ্যলাও পর্যন্তক কোচবেহার ব্যবহার দেখা নাই যায়মহারাজ রূপনারায়ণের(১৭০৪- ১৭১৪) আমলত কামতাপুর রাজ্যর নাম হয় 'বেহার'বৌদ্ধবিহার এই জাগাত মেলা আছিল বুলি এই নাম হয়-(বিহার/বেহার) কুচবেহারের জনগণ বা কুচবেহারের রাজতথ্য আদি সৌগ কিছুতে 'বেহার' নাম ব্যবহার হয়ায় থাকেহরেন্দ্র নারায়ণের আমলত (১৭৮৩-১৭৪০) কৃষ্ণদাস বৈরাগী 'গোসাঁনী মঙ্গল' কাব্য রচনা করে ইয়াত 'বেহার'-এর উল্লেখ আছেফির ঐ সামায় রঘুনাথ দ্বিজ-র লেখাত পাওয়া যায়-'কামতা দেশের পতি শ্রী হরেন্দ্র রায়'১৮৪৭-এর পাছত মহারাণী বিন্দেশ্বরী দেবীর 'বেহারোদন্ত' রচনা করে১৮৪৬ খ্রীষ্টাব্দত যদুনাথ মুন্সির লেখা রাজইতিহাসত 'বেহার রাজ্য' কওয়া হইছেআসামের রাজা বা ভোটানের রাজালা এই রাজ্যর রাজাক 'বেহারেশ্বর' বুলি কইছে  ১৩২১ বঙ্গাব্দত (১৯১৪ খ্রী:) হরপ্রসাদ শাস্ত্রীও 'কুচবেহারক' 'বেহার' কইছে  -'সেদিনও চৈতন্যদেবের আবির্ভাবের পর বাঙালিরা মণীপুর, আসাম, উড়িষ্যা ও বেহার চৈতন্য ধর্মে দীক্ষিত করিয়াছে২৪(ক)  কৃত্তিবাস ওঝার রামায়ণতও 'বেহার' নাম পাওয়া যায়- 'অঙ্গের অধিপ এল লোমপাদ নাম। / বেহারের রাজা এল সীতা গিরি ধাম'২৪(খ)  কিন্তুক অচানক কাণ্ড বাংলাত কোচবিহার লেখা চলি থাকে মহারাজ নৃপেন্দ্রনারায়ণের আমল থাকিকুচবেহারের রাজা 'কোচ' এই হিসাবত বাংলা শব্দগত আটকালত এই 'কোচবিহার' নামের সিজ্জন
 
  আইন--আকবরী কুচ পাওয়া যায়- To the north is a country called Kúch. Its chief com­mands a thousand horse and a hundred thousand foot. Kámrúp com­monly called also Káoṇru and Kámtá, is subject to him. The inhabitants are as a race good looking and addicted to the practice of magic.Another river is the Brahmaputra. It flows from Khatá* to Kúch and thence through the Sarkár of Bázohá and fertilising the country, falls into the sea.’-২৫
     
      ১৯৮৬ খ্রীষ্টাব্দত সরকারী গেজেটত 'কুচবেহার' (Cooch Behar) নাম লেখা হয়্যাও অচানক ভাৱত বাংলাত 'কোচবিহার' নামটা থাকি যায়ইংরাজীত কিন্তুক আ্যলাও 'কুচবেহারে'-এ আছে এই ব্যাপারত ললিত চনদ্র বর্মণ কইছে-
অতএব Cooch Behar ঘোষণাকারী মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ যেহেতু নিজেই এর বাংলা বানানটি লিখতেন কুচবেহার এবং ইংরেজী উচ্চারণের দিক থেকে মহারাণী সুনীতি দেবী, রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর, পঞ্চানন বর্মা প্রমুখ লিখতেন কুচবিহার, তাই কোচবিহার বানানের পরিবর্তে কুচবেহার বা  কুচবিহার লেখাই শ্রেয়২৬
         ১৭৭৪ খ্রীষ্টাব্দত ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর সোদে চুক্তির পাছত মহারাজ ধৈর্যেন্দ্রনারায়ণ উমার ব্যেটা হরেন্দ্র নারায়ণের নামত একটা উইল করে, তাতে উমরা কইচে- যে, উমার বেটা নিজবেহার-এর রাজা হইবেননিজবেহার কওয়া হইছে এই কারণে যে, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী কুমারগ্রাম ডুয়ার্স এমুন কি ময়নাগুড়ি তক ভুটানক ছাড়ি দেওয়া হয়, ঐ জাগালা বাদ দিয়া যেখুনা থাকিল উয়াক নিজবেহার বুলি উমরা কইচেনআর ইয়ার পাছত এই দ্যাশটাক কাঙো নিজবেহার, কামতাবেহার, বেহার এই নামত পরিচয় দেয়কুচ শব্দর অর্থ কুঞ্চিত বা ছোটডাঙর বেহার রাজ্য ছোট হয়া আইসায় ইয়ার নাম হয় কুচবেহারআর ঐ সমায় কুচবেহারী মানষির জাতি পরিচিন আছিল কুচবেহারীভাষাকও কওয়া হইছে কুচবেহারীএটি উল্লেখ্য যে, মানী ধর্মনারায়ণ বর্মা কইছে-মুঞি যেলা তুফানগঞ্জর এন. এন. এম. হাই স্কুলত ভর্তি হং সেলা ভর্তিফর্ম লেখির সমায় জাতির ঘরত কুচবেহারী লেখা হইছি তাহইলে এই স্বীকৃত জাতি পরিচিন কুচবেহারী- এটা আজি ক্যানে নাই? এই পুছারি হবারে পায় সগারেএঠি আবব্বাসউদ্দিনের সেই গান ফম পড়ি যায়-ও ভাই মোর কুচবেহারী রে / সগারে ঘরত সূরজ বাতি / তোমার ক্যানে আজি আন্ধার রাতি রে

No comments:

Post a Comment