কুচবেহার আরহ্ কোচবিহার
1)
মহারাজ
রূপনারায়ণের(১৭০৪- ১৭১৪) আমলত কামতাপুর রাজ্যর নাম হয় 'বেহার'।
2)
কুচবেহারের
জনগণ বা কুচবেহারের রাজতথ্য আদি সৌগ কিছুতে 'বেহার' নাম ব্যবহার হয়ায় থাকে।
3)
হরেন্দ্র
নারায়ণের আমলত (১৭৮৩-১৭৪০) কৃষ্ণদাস বৈরাগী 'গোসাঁনী
মঙ্গল' কাব্য রচনা করে। ইয়াত 'বেহার'-এর উল্লেখ আছে। ফির
ঐ সামায় রঘুনাথ দ্বিজ-র লেখাত পাওয়া যায়-'কামতা
দেশের পতি শ্রী হরেন্দ্র রায়'।
4)
১৮৪৭-এর
পাছত মহারাণী বিন্দেশ্বরী দেবীর 'বেহারোদন্ত' রচনা
করে।
5)
১৮৪৬ খ্রীষ্টাব্দত
যদুনাথ মুন্সির লেখা রাজইতিহাসত 'বেহার রাজ্য' কওয়া
হইছে।
6)
আসামের
রাজা বা ভোটানের রাজালা এই রাজ্যর রাজাক 'বেহারেশ্বর' বুলি কইছে।
7)
১৩২১
বঙ্গাব্দত (১৯১৪ খ্রী:) হরপ্রসাদ শাস্ত্রীও 'কুচবেহারক' 'বেহার' কইছে “-'সেদিনও চৈতন্যদেবের
আবির্ভাবের পর বাঙালিরা মণিপুর, আসাম, উড়িষ্যা
ও বেহার চৈতন্য ধর্মে দীক্ষিত করিয়াছে”।
8)
‘আইন-ই-আকবরী’ ‘কুচ’ পাওয়া যায়-‘
To the north is a country called Kúch. Its chief commands
a thousand horse and a hundred thousand foot. Kámrúp commonly called
also Káoṇru
and Kámtá, is subject to him. The inhabitants are as a race good looking
and addicted to the practice of magic.’ ‘Another
river is the Brahmaputra. It flows from Khatá to Kúch and
thence through the Sarkár of Bázohá and fertilising the country, falls
into the sea.’
9)
১৯৮৬
খ্রীষ্টাব্দত সরকারী গেজেটত 'কুচবেহার' (Cooch Behar) নাম লেখা হয়।
10)
ললিত চন্দ্র বর্মণ কইছে- “অতএব Cooch Behar ঘোষণাকারী
মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ যেহেতু নিজেই এর বাংলা বানানটি লিখতেন ‘কুচবেহার’ এবং ইংরেজী উচ্চারণের দিক থেকে মহারাণী সুনীতি
দেবী, রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর, পঞ্চানন বর্মা প্রমুখ লিখতেন ‘কুচবিহার’, তাই কোচবিহার বানানের পরিবর্তে ‘কুচবেহার’ বা ‘কুচবিহার’ লেখাই শ্রেয়”– [বর্তমান , ২৯-০৮-০৬ ]।
11)
১৭৭৪ খ্রীষ্টাব্দত ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর সোদে
চুক্তির পাছত মহারাজ ধৈর্যেন্দ্রনারায়ণ উমার ব্যেটা হরেন্দ্র নারায়ণের নামত একটা
উইল করে, তাতে উমরা কইচে- যে, উমার বেটা ‘নিজবেহার’-এর রাজা হইবেন। নিজবেহার কওয়া
হইছে এই কারণে যে, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী কুমারগ্রাম ডুয়ার্স এমুন কি ময়নাগুড়ি তক
ভুটানক ছাড়ি দেওয়া হয়, ঐ জাগালা বাদ দিয়া যেখুনা থাকিল উয়াক ‘নিজবেহার’ বুলি উমরা
কইচেন। আর ইয়ার
পাছত এই দ্যাশটাক কাঙো নিজবেহার, কামতাবেহার, বেহার এই নামত পরিচয় দেয়।
12)
ঐ সমায় কুচবেহারী মানষির জাতি পরিচিন আছিল ‘কুচবেহারী’। ভাষাকও কওয়া হইছে ‘কুচবেহারী’। এটি উল্লেখ্য যে, মানী ধর্মনারায়ণ বর্মা কইছে-‘মুঞি যেলা তুফানগঞ্জর এন. এন. এম. হাই স্কুলত ভর্তি হং সেলা ভর্তিফর্ম লেখির
সমায় জাতির ঘরত ‘কুচবেহারী’ লেখা হইছি।’
13)
এঠি আবব্বাসউদ্দিনের
সেই গান ফম:- ভাই মোর কুচবেহারী রে / সগারে ঘরত সূরজ
বাতি / তোমার ক্যানে আজি আন্ধার রাতি রে’।
14)
পদ্মশ্রী ড. ধর্মনারায়ণ বর্মা “কোচবেহার”নাম–এর বিরুদ্ধোত হাইকোর্টোত কেস করে। আর মহামান্য হাইকোর্ট ‘রায় দ্যায় যে, কুচবেহার–এর নাম প্রাচীন নথিপত্রত “কুচবেহার”–এ আছে। এই বাদে ‘কোচবেহার” নাম সংশোধন করি ‘কুচবেহার” করার দায়ীত্ব
থাকিল সরকারের।
15)
সতীশ চন্দ্র চৌধুরীর বইয়োত আছে- “---বিক্রমপুরের পতনের পর চন্দ্রদ্বীপ ও কুচবিহার
ব্যতীত বঙ্গদেশে স্বাধীন হিন্দুরাজ্য আর ছিল না”–
16)
মাহবুবুর রহমান লেখিছে- “----তিনি (হুসেন শাস) কামতাপুরের
(কুচবিহারের) রাজাকে পরাজিত করিয়া বন্দী করেন, কিন্তু পরিশেষে কুচদিগের
আক্রমণে কুচবিহার পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হন।, এবং বর্ত্তমান কুচবিহার রাজ্য
সংস্থাপিত হয়”(বাংলা দেশের ইতিহাস)।
17)
“Dharmaraja wanted to keep good relations with
Nepal possibly because of the threat from the British to Bhutan during war
against Sikkim, Kuchbihar and Assam.” - "Nepal-Bhutan
Relation(A Study Of Its Past)"
18)
“কুচ’ দিয়া বহু গ্রামের নাম পাওয়া যায়,-
19) ভ্রমারাকূণ্ডর বগলত চণ্ডিকাবেহারত বিশ্বসিংহর
রাজধানী আছিল। কুচ একটা জমিদারী এলাকা আছিল। বিশ্বসিংহ ইয়াত
রাজধানী থাপন করিলে চণ্ডিকাবিহারের অনুকরণত “কুচবেহার’ হয়।
20) কুচবেহারের প্রভাবত
অষ্টাদশ উনবিংশ খ্রীষ্টাব্দত বাংলীর নামের ক্ষেত্রতও “ বেহারী” উচ্চারণ দেখা যায় ইংরাজী
বানানোত, যেমুন, Rashbehari, Bipinbehari, Pulinbehari, etc,
21) কুচবেহারের রাজার সাহিত্য সভাও
ভাষাক “কুচবিহারী” কইছে।
No comments:
Post a Comment