রাসচক্র রাশিচক্র:
কামতা-কুচবেহারের এক
ঐতিহ্যবাহী আধ্যাত্মিক প্রকাশ
রাস আইসে রাস যায়; গোটায় পনরো দিন
ধরি চলি থাকে ধুমধাম। হৈ-হাজার মানষির ওলামেলা। আমারলার পাইসা-কড়ি চলি যায় আন থলেয়াত। ত্যাঙো হামরা খুশি যে, এটা হামারলার চিরন্তন ঐতিহ্য। কিন্তুক না
জানার নাতিজাত আজি এই ঐতিহ্যর ইতিহাস আন্ধারত ঢাকা।
যাই হউক, হামরা রাসচক্রর
ভিতি চখু ফেলাই, যা বনায় হামারে এক রাজ্যবাসী মোছরমান ভাই। সংহতির এই কুচ-বেহারত বৈষ্ণব সাধনার এই রাস
পূজাত মোছরমানের অংশগ্রহণ সচায় সেই কালের রাজশাসকের এক উদাস মানসিকতার চিন।
যাই হউক, এই ‘রাসচক্র’ কী? এইটাক ক্যানে অমুন করি তৈয়ার করা হয়; বা ক্যানে ঘুরা
হয়! আমরা
জানি সেই ‘রাশিচক্রর’ কাথা। সেই রাশি চক্রয় ‘রাসচক্র’ ; আর ‘রাসচক্রয়’ ‘রসচক্র’- ব্রহ্মাণ্ড
সিজ্জনের বা ব্রহ্মাণ্ড ঘুরণের বা পৃথিবী ঘুরণের চাকা। আর এই টায় বিষ্ণুর চক্র।
সুর্য়্যয় হামার গোটায় ব্রহ্মাণ্ডর
শক্তি দাতা। সূর্যয় বিষ্ণু, সুর্যয় শিব। আমরা এটি বৈষ্ণব তত্ব নিয়া আলোচনা করিমু। ‘গো” মানে আলো, ব্রহ্মাণ্ড, শক্তি, গিয়ান, পৃথিবী ইত্যাদি। পরম ভগবান বিষ্ণু বা দেবাদিদেব শিব “হর” এবং “হরি”। এই হর এবং হরি শব্দ আসিছে “অহুর” বা অসুর” থাকি। ঋগ্বেদত অসুর(অহুর) কোন দৈত্য বা বেয়া শক্তি নোয়ায়, বরং “ঈশ্বর, নেতা, গুরু, পূজনীয়” ইত্যাদি। এই বাদে শিব, বিষ্ণু, ইন্দ্র, অগ্নি সগায় ‘অহুর’। ভাল দিন
পাছোত “পৌরাণিক” কাহিনীকরণত ইতিহাস হয় অইন্য
নাখান- অসুর মানে হয় দৈত্য।
বিষ্ণুর নাম- ‘গোধাস’, ‘গোবোন্দ’, ‘গোপাল’, ‘গোস্ৱামী’। এই বিষ্ণুই হইলেক ব্রহ্মাণ্ডর চালক শক্তি। এই বাদে নাম “গোধাস”[ ‘গো’—ধা( to
propel, ধাবিত করা]; গোবিন্দ[ গো- বিদ্ (to
know)- বিশ্বব্রম্হাণ্ডক জানে যায়। বিষ্ণু হইলেক – “গোপাল”। ‘গো’-ক পালন করে যায়। ‘গো’- মানে গরু; এবং কৃষ্ণ গরু চরায়। এইটা প্রতিকী বিষয়। সাধারণ মানষিক কৃষ্ণর ভিতি
ভক্তিবান করির তানে – এই কাহিনী। বিষ্ণু “গোস্ৱামী”, অর্থাৎ পৃথিবীর বা ব্রহ্মাণ্ডর সোয়ামী।
বিষ্ণুই মহাজাগতিক মহা জ্যোতিষ সূর্য্য। অর এই বাদে ইয়াক
কেন্দ্র করি রাশি চক্রর ঘুরাণি- জ্যোতিষশাস্ত্র মতত বা মিডিয়ান ( মধ্যপার্শিয়া ) বা পাছোত অথর্বান
কামরূপী ধারণাত এই রাশি চক্রর ‘গো-পী’ ‘গোপ’ নারী নোয়ায়। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডর নারী শক্তি ( বা সৌগ প্রাণ, কৃষ্ণ একেলায় পুরুষ
আর সগায় নারী- এই ধারণা)। আর এই নারী শক্তির মূল “রাধ”(শক্তি, সম্পদ, বৈভব, ধন, ভগ)। ঋগ্বেদত বেদত এই “রাধ” বা “সত্য রাধ”। মানষি যা কিছু চায়, সেই টায় “আরাধনা”- ‘রাধ’-কে চাওয়া। এই বাদে “রাধা”। এই বাদে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডর ‘রস’ (সিজ্জন প্রবাহ)। ইয়ারে আনুষ্ঠানিক উজ্জাপন “রাস”। আর এই তানে “রাসচক্র/রসচক্র/রাশিচক্র”। বিশ্বসংসারের
চলচ্ছক্তি মানষির সংসারত একে ভাবত বিদ্যমান।
‘গো’ মানে আলো। এই বাদে “গোরা” মানে ফরসা(পুং)। ‘গো-রী” মানে নারী (যায় ফরসা)। এই বাদে মূলত: গৌরীদেবী “গোরীদেবী”। “চল গোরী লে যাবো তোকে দেশে”- এটার “গোরী” উচ্চারণ স্বাভাবিক প্রাচীন
ধারার চলচ্ছক্তি রূপ। প্রাচীনত “গোতম” ঋষি; ‘গৌতম ঋষি’ নোয়ায়। বুদ্ধদেব “গৌতমবুদ্ধ” নোয়ায় “গোতম বুদ্ধ”[ জ্ঞানীতম বুদ্ধ]। কামতাপুরীত ‘গৌতম’ শব্দক “গোতম” উচ্চারণের লোক-ধারা আছে; এইটা প্রাচীন
প্রবণতা।
মহাযোগী “গোরক্ষনাথ” গো-(বিশ্বজগত)-এর রক্ষক অভিধাত অভিধিত। ইমাক পূজা করিলে ‘গোরু” ভাল থাকিবে- সাধারণ মানষির
সামাজিক জীবনত গোসম্পদ উন্নতির আশাত গোরক্ষনাথের পূজা করুক- এই বাদে গোন্নাথের গান এবং পূজা। “গবেষণা”[ গো- এষণ+আ] গরু উটকা নোয়ায়; আলোর ওণাষ। প্রাচীন ঋগ্বেদের রীতিত এইলার স্বাভাবিক উচ্চারণ। পাছিলা সমায়ত
“গৌ- গাৱ- গাম” বা ‘রাধ”-র “রাধনা”-র সাথত “আ” উপসর্গ যোগ
পাছিলার রীতি। “গোরু” গোমাতা রূপ। শক্তি-সম্পদ
পৃথিবী রূপ। এই বাদে নাম ‘গো-পশু”।
যাই হউক, এই বিষ্ণুক্রান্তার নরক বা বিশ্বসিংহ বংশর এই
বৈষ্ণব পূজাত কামদেব/মদনকাম মহিমাময় হয়া চলি আছে।
“Naraka Janaka hail, it may be supposed from such a stock
which is called Alpine”
“The Bhauma
Naraka and Kshatriya Siraddhaj Janaka may be identified as of same line”.
এই আল্পাইন আরো
ইরাণিয়ান মানষিলায় গঠি তুলিছে প্রাচীন বৈদিক ব্রাত্য বা আধ্যাত্ম ধারা যে-ধারাত
মানষি “গুণকর্ম বিভাগশ:” রীতিত ব্রাহ্মণ দেবতা বা
ভগবানত উন্নতীত হয়।
এই বিষ্ণুক্রান্তার বৈষ্ণব আদর্শ
সদায় বিরাজমান। এই বাদে
এই দৈব বিভার উন্নয়নের শেষুয়া উদাহরণ
নরনারায়ণ আরো চিলা রায়।
নরনারায়ণ
আর চিলা রায় রামায়ণের রাম আর লক্ষণের নাখান নারায়ণের অংশত উপজা। গোটায় দুনিয়াত
এমুন উদাহরণ নাই যে, রাম আর লক্ষণের নাখান, কৃষ্ণ আর বলরামের নাখান ভাতৃত্ববোধের আদর্শ নিদর্শন উপজিচে। পৃথিবীর ইতিহাসত
বিরল যে, বড় ভাই মহারাজ আরো ছোট ভাই উমার সেনাপতি। এই বাদে দরংরাজবংশাবলীত কওয়া হইইছে:
“শুনিয়োক সভাসদ রাজার চরিত্র ।
নরনারায়ণ রাজা পরম
পবিত্র ।।
ধর্ম্মতেসে মতি অধর্মত মতি নাই।
নারায়ণ অংশে জন্মিছন্ত দুই ভাই।
No comments:
Post a Comment